শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

রংপুরের পালিচড়ায় মৃত স্কুল শিক্ষক পরিবারকে দাদন ব্যবসায়ীর হয়রানীর অভিযোগ

Reading Time: 2 minutes

হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের পালিচড়ায় জীবন কৃঞ্চ বর্মন নামের এক সরকারি প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক দাম্পত্য কলোহ ও দাদন ব্যবসায়ীদের চাপে চলতি বছরের গত ২৯ জুলাই শেষরাতে নিজ ঘরের বারান্দায় গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর পরেই তার স্ত্রীর সহযোগিতায় নিকট এক আত্বীয়কে দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। সেই সাথে মৃত জীবন কৃঞ্চ বর্মনকে জীবিত দেখিয়ে তার চেক হারিয়েছে বলে থানায় জিডি করেন। এতে মৃত জীবন কৃঞ্চ বর্মনের পরিবার হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। তাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানী করছে দাদন ব্যবসায়ীরা। এই কারণে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভূক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানায়, রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নের পালিচড়া দক্ষিন অযোধ্যাপুর গ্রামের অধিবাসী শ্যামপুর ডিগ্রি কলেজের অবসর প্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র বর্মন এর কনিষ্ঠ পুত্র বড়বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জীবন কৃঞ্চ বর্মন এর সংগে তার স্ত্রীর দাম্পত্য কলোহ বিদ্যমান ছিল এবং বনিবনা না হওয়ায় তার স্ত্রী সংসার করবেনা বলে স্বেচ্ছায় লালমনিরহাট এর কালিগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার এ অবস্থিত তার বাবার বাড়ী চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তার স্ত্রী কালিগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার এর নিকট আতী¥য় বিশেষর ও পলাশ চন্দ্র রায় এর দ্বারা জীবন কৃঞ্চ বর্মন কে বিবাদী করে ২৭ লক্ষ টাকার চেক ডিজঅনার এর দুটি মিথ্যা মামলা করে। এছাড়া জীবন কৃঞ্চ বর্মন দাম্পত্য কলোহ ও সংসার চালাতে কয়েকজন দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে উচ্চ সুদে টাকা ঋণ গ্রহণ করে। দাদন ব্যবসায়ীদের চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ চালাতে তিনি দিশেহারা হয়ে পরেন। দাদন ব্যবসায়ীরা সুদকে মুনাফা বানিয়ে পরিশোধের জন্য স্কুল শিক্ষককে নানামুখি চাপ দেয়। দাম্পত্য কলোহ, স্ত্রী ও তার আত্মীয়দের মিথ্যা মামলা ও দাদন ব্যবসায়ীদের চাপে দিশেহারা হয়ে স্কুল শিক্ষক জীবন কৃঞ্চ বর্মন আত্মহত্যা করেন। পরবর্তীতে মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে যাদবপুর শ্মষানে দাহ করা হয়। এর পরেই তার স্ত্রীর সহযোগিতায় নিকট আত্বীয় বিশেষর ও পলাশ চন্দ্র রায়কে দিয়ে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। সেই সাথে মৃত জীবন কৃঞ্চ বর্মনকে জীবিত দেখিয়ে তার চেক হারিয়েছে বলে থানায় জিডি করেন। এতে মৃত জীবন কৃঞ্চ বর্মনের পরিবার হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। তাদের নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানী করছে দাদন ব্যবসায়ীরা। তার হয়রানি ও মামলা থেকে পরিত্যাণ পেতে সরকার ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com